ছবি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
গতকাল রোববার দলের সহ দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন,প্রতিবছর ৩ মে বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’পালিত হয়ে থাকে। দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগে মানবজাতি হতচকিত। এই ভয়াল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশে এই দিবসটির গুরুত্ব খুবই অর্থবহ।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানব প্রগতির ধারা।জীবনওজগতকে জানার স্বাধীনতা থেকেই জন্ম নেয় চিন্তার স্বাধীনতা। চিন্তার স্বাধীনতার কারণে মানবজাতির উৎকর্ষতা ও অগ্রগতি নিশ্চিত হয়েছে। চিন্তার স্বাধীনতার বাহনই হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
ফখরুল বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বজনীন এক দাবি। সুতরাং গণতন্ত্র, মানবতা, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ করতে হবে। এ বছরের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডমের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভয় বা পক্ষপাতিত্ববিহীন সাংবাদিকতা’। এবারের এই স্লোগানটিকে ঘিরে বাংলাদেশে গড়ে উঠুক ভয়ভীতিহীন স্বাধীন সাংবাদিকতার ভিত্তিভূমি। তবে নানামুখী চাপ সত্ত্বেও এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে বাংলাদেশের অকুতোভয় সাংবাদিকরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভয়াবহ মরণঘাতী করোনা দুর্যোগেও জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন তারা। ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এ দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকন মারা গেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ইতিমধ্যে অনেক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন।বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, কর্মহীন দুস্থদের ত্রাণ বিতরণে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির-সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্নভাবে বাধা, হয়রানি ও নির্যাতন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখা ও সাংবাদিকদের সেল্ফ সেন্সরশিপে বাধ্য করার প্রয়াস চলছে। গ্রেফতার ও মামলা দেয়া হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে, বিএনপি মহাসচিব এই নিবর্তনমূলক আচরণের নিন্দা জানান।